|
ad728
ad728

হালুয়াঘাটে বৃদ্ধ খুনের রহস্য উদঘাটন, জামাতা এরশাদের স্বীকারোক্তি

রিপোর্টারের নামঃ অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : 16-05-2025 ইং
  • 15005 বার পঠিত
হালুয়াঘাটে বৃদ্ধ খুনের রহস্য উদঘাটন, জামাতা এরশাদের স্বীকারোক্তি
ছবির ক্যাপশন: অনলাইন সংগৃহীত

মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্লুলেস মতিন হত্যার রহস্য উদঘাটন ও ঘাতক গ্রেপ্তারের অভূতপূর্ব সাফল্য দেখিয়েছে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানা পুলিশ।
গত ১৪ মে ২০২৫, সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ জানতে পারে, ০১ নং ভুবনকুড়া ইউনিয়নের পূর্ব লক্ষ্মীকুড়া গ্রামে জনৈক নূর ইসলামের পুকুর পাড়ের ঝোপের ভিতর এক বৃদ্ধের মরদেহ পড়ে আছে। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে তদন্ত শুরু করে।

নিহত ব্যক্তি আব্দুল মতিন (৭২), একা বসবাসকারী একজন বৃদ্ধ, যিনি সম্প্রতি বাড়ি ক্রয় করে সেখানে থাকতেন। জমিজমা বা পারিবারিক কোনো বিরোধ না থাকলেও তদন্তে উঠে আসে এক পারিবারিক কলহের চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পুলিশ জানতে পারে, মতিনের মেয়ে মরিয়ম ও তার জামাতা মোহাম্মদ এরশাদ মিয়ার মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। ঘটনার দিন এরশাদ মিয়া সন্দেহজনকভাবে একাধিকবার ঘটনাস্থলের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করে এবং নিজের মাকে নিয়ে এসে মৃতদেহ দেখে। এসব আচরণ সন্দেহের সৃষ্টি করে পুলিশের মধ্যে।

এরশাদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার পরিহিত লুঙ্গিতে রক্তের দাগ পাওয়া যায়। নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদে অবশেষে সে হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে।

ঘাতক এরশাদ জানায়, ২০০১ সালে প্রেম করে মামাতো বোন মরিয়মকে বিয়ে করে তারা নারায়ণগঞ্জে বসবাস করছিল। পারিবারিক কলহের কারণে মরিয়ম বাবার বাড়িতে চলে আসে ও পরবর্তীতে বিদেশ চলে যায়। এদিকে এরশাদ দ্বিতীয় বিয়ে করলেও পুনরায় হালুয়াঘাটে ফিরে এসে পুরাতন একটি অটোরিকশা কিনে চালাতে থাকে।

সম্প্রতি মরিয়ম বিদেশ থেকে ফিরে এলে এরশাদ মরিয়মকে আবার সংসার করার অনুরোধ জানায়। এ ব্যাপারে শ্বশুর মতিনের কাছে অনুরোধ জানিয়ে ব্যর্থ হয় এবং মতিন তাকে লাথি মারেন। এর থেকেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে এরশাদ।

১৩ মে রাতে মতিন দোকান থেকে চা খেয়ে ফিরছিলেন, সে সময় এরশাদ তার পথরোধ করে মাথায় শক্ত লাঠি দিয়ে আঘাত করে এবং মৃত ভেবে একটি পুকুর পাড়ে ফেলে দেয়। পরে দেখে মতিন জীবিত, তখন ফের বুকে আঘাত করে তাকে হত্যা করে।

এই তদন্ত ও অভিযানে নেতৃত্ব দেন হালুয়াঘাট সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জনাব সাগর সরকার। অভিযানে ছিলেন হালুয়াঘাট থানার তদন্ত কর্মকর্তা রাজন চন্দ্র পাল ও এসআই শুভ্র সাহা।
ঘাতকের রক্তমাখা লুঙ্গি, মৃতের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এরশাদ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।

হালুয়াঘাট থানায় এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা (নং ১৪, তারিখ ১৪/০৫/২০২৫, ধারা ৩৪১/৩০২/২০১) রুজু হয়েছে।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী (Columbus)
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ কালের কন্ঠস্বর | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় কালের কন্ঠস্বর