|
ad728
ad728

পাটগুদাম জামে মসজিদ ও ইমাম খতিবের সাহেবের নামে গুজব ছড়ানো বিষয় সঠিক তথ্য

রিপোর্টারের নামঃ অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : 04-05-2025 ইং
  • 29991 বার পঠিত
পাটগুদাম জামে মসজিদ ও ইমাম খতিবের সাহেবের নামে গুজব ছড়ানো বিষয় সঠিক তথ্য
ছবির ক্যাপশন: পাটগুদাম মসজিদ

গত ২৯ এপ্রিল ২০২৫ ইং “আলোকিত ময়মনসিংহ” পত্রিকায় পাটগুদাম জামে মসজিদ সংক্রান্ত যেসব অভিযোগ প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এসব অভিযোগের প্রকৃত সত্য নিচে তুলে ধরা হলো:

১. মসজিদের জমি দখল ও পারিবারিক প্রতিষ্ঠানের অভিযোগ:
পাটগুদাম জামে মসজিদের ইমাম সাহেবরা ১৯৪০ সাল থেকে মসজিদের বাসভবনে বসবাস করছেন। তাদের কাছে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে যা থেকে বোঝা যায়, এ জায়গা মসজিদের ব্যবহারের জন্যই বরাদ্দ। অতএব, এটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো অনুচিত।

২. মসজিদ উন্নয়নে খতিব সাহেব বিরোধিতা করেন – এ অভিযোগ ভিত্তিহীন:
বর্তমান খতিব মুফতি আব্দুল হাই কাসেমী প্রতিটি বয়ানে মসজিদের উন্নয়নের জন্য দোয়া ও অনুরোধ করে থাকেন। তার আমলেই মসজিদের দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে।

৩. উস্কানিমূলক বয়ানের অভিযোগ:
জুমার বয়ানে উস্কানিমূলক বক্তব্যের যে অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। উপস্থিত মুসল্লিগণই তার বক্তব্যের সাক্ষী।

৪. বহিরাগতদের এনে সভাপতিকে পদত্যাগে বাধ্য করার অভিযোগ:
পূর্বতন সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ নিজেই সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগের কথা বলেন। এরপর তিনি হাইকোর্টে গিয়ে প্রশাসনিক কমিটি স্থগিত করার চেষ্টা করেন, যা ব্যর্থ হয়।

৫. শৌচাগার ইস্যু:
আগের কমিটির এক সদস্য মসজিদের শৌচাগার লিজ নিয়ে তা পারিবারিক ব্যবসায় রূপান্তর করেন। নামাজের সময়ও টাকা উত্তোলন করা হতো। বর্তমানে তা ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে এবং প্রশাসনিক কমিটির অধীনে শৌচাগার থেকে এক মাসে প্রায় ৭৬ হাজার টাকা আয় হয়, যা পূর্বে মসজিদ পেত মাত্র ২০ হাজার টাকা।

৬. কোষাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মুসল্লিদের ক্ষোভ:
তিনি নামাজের সময় ফ্যান ও লাইট বন্ধ করে দেওয়া, অসদাচরণ ইত্যাদির জন্য মুসল্লিদের ক্ষোভের মুখে পড়েন।

৭. নাহা রোডের বাড়ি বিক্রি ও অর্থ আত্মসাৎ – সম্পূর্ণ ভুয়া:
৩২ বছর আগের ঘটনার ভিত্তিহীন অভিযোগ এখন তুলে ধরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যদি এমন কিছু ঘটতো, তবে সে সময়ের কমিটি প্রতিবাদ করতো।

৮. মাদ্রাসার হিসাব সংক্রান্ত অভিযোগ:

সমস্ত হিসাবপত্র মাদ্রাসার সেক্রেটারির স্বাক্ষরিত এবং সংরক্ষিত। ইচ্ছুক ব্যক্তিরা চাইলে দেখে নিতে পারেন।

৯. আব্দুল কাইয়ুম সাহেবের দোকান নিয়ে বিভ্রান্তি:
উক্ত দোকান ৩৫ হাজার টাকায় তৎকালীন মুতাওয়াল্লী কর্তৃক বরাদ্দ হয়েছিল। এর যথাযথ কাগজপত্র এখনো বিদ্যমান।

১০. সাবেক কমিটির স্বেচ্ছাচারিতা ও দলীয় প্রভাব:
সাবেক কমিটি মুসল্লিদের স্বাক্ষর জাল করে ক্ষমতায় আসে। বিষয়টি ডিসি মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি তদন্ত করে তাদের কমিটি বাতিল করেন ও নতুন প্রশাসনিক কমিটি গঠন করেন।

স্থানীয় সচেতন মুসল্লিদের দাবি:
মসজিদের মতো পবিত্র স্থাপনাকে যেন কেউ ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করতে না পারে। দীর্ঘদিন যারা মসজিদের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান স্থানীয় মুসল্লিরা।

ad728

নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
ad728
ad728
ফেসবুকে আমরা...
নামাজের সময়সূচী (Columbus)
জাতীয় সঙ্গীত
©সকল কিছুর স্বত্বাধিকারঃ কালের কন্ঠস্বর | আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ
সকল কারিগরী সহযোগিতায় কালের কন্ঠস্বর